মাদার এবং ‘আদার’ বিষয়: ‘হাম্বা’ থেকে ‘সাম্বা’
কে বলে ভারত নাকি জাদু টোনার দেশ? কে বলে ভারত নাকি বাবাজি-মাতাজীর দেশ? কোন ব্যটা বলে শুধুমাত্র ভারত নাকি ‘অলৌকিক’ বাবাদের কারিগুরির দেশ? এখন তো দেখা যাচ্ছে "উল্টো পুরাণ", ভারতীয়দের ‘টেক্কা’ দিচ্ছে রোম। পোপ ঘোষণা করেছেন ‘মাদার’ নাকি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী।
আমাদের পাড়ার ‘পাঁচু’ একদিন এসে বলল আমি দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম
হয়েছি। আমারা তো অবাক। যে পাঁচু জীবনে মাঠেই
নামে নি সে প্রথম হোল কি করে? কোথায় প্রতিযোগিতা
ছিল জানতে চাওয়ায়? পাঁচু বললো ‘কেন আমার বাড়ির উঠোনে’। কে রেফারি ছিল ?
‘কেন আমিই রেফারি ছিলাম’। আর কে তোমার সঙ্গে দৌড়ে ছিল? ‘কেন আমি একা’।
বিষয়টা এই রকম, মাদারের আলৌকিতার পরীক্ষাও নিলেন পোপের নির্ধারিত লোকেরা, পরীক্ষা দিলেন তিনিও মাদারের ভক্ত, আর যারা বিশ্বাস করলেন তারাও পোপের বিশ্বস্ত। গর বার ভারতে এক জনকে খুঁজে পেয়েছিলেন ঐ পরীক্ষকরা। যিনি নাকি অলৌকিক উপায়ে মাদারের আশীর্বাদে রোগ সারিয়ে ছিলেন। কিন্তু ভারতের যুক্তিবাদীরা খুঁজে বার করেছিলেন আসলে তার রোগ সেরেছিল চিকিৎসার
মাধ্যমে। তার জন্যই কি এবার ভারত থেকে সরে গিয়ে ব্রাজিলে। ‘হাম্বা’ থেকে সোজা ‘সাম্বা’।
একদিন 'পাঁচু' এসে বলল রোজ রাতে সে দুই ফুট করে লম্বা হয়ে
যায়। আর তার ঘাড়ের দুই দিক ঠকে দুটো ডানা গজায়। সেই ডানায় ভর করে সে উরে যায় গঙ্গার ধারে। সেখানে একটু হওয়া খেয়ে সে জি পি ও -এর উপর গিয়ে বসে। তার পর বাড়ি ফিরে এসে সে ঘুমিয়ে পরে। অমনি তার উচ্চতা আগের
মতোই হয়ে যায়। আর ডানা গুলোও 'ভ্যানিস' হয়ে যায়। সবাই বলে পাঁচুর মাথায় 'ছিট' আছে। পাঁচুকে যদি পাগলা
বলা হয় তাহলে 'মন্ত্র' পড়ে টিউমার সারানোর দাবীদারকে কেন চোখ বুজে বিশ্বাস করতে হবে?
বাবাজিরা ছাই-টাই আনলে তাকে হাতেনাতে ধরা যায়, মাদারিররা শূন্য থেকে মাদুলি আনলে তার সামনে আর একটা বাবাদুলি
নিয়ে আসা যায়, কিন্তু কারো মৃত্যুর পর তিনি অলৌকিক ক্ষমতার
অধিকারী বললে সেই উপায়টা নেই। তাই মাননীয় ‘পোপ’ –কে অনুরোধ আপনি দয়া
করে এমন কারোকে সামনে আনুন যিনি জীবিত এবং অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। আমারা ‘অবিশ্বাসী’-রা একটু প্রমাণটিকে ঠুকে বাজিয়ে নেব।
আর
যদি প্রমাণ করতে না পারেন তবে এই ভণ্ডামিগুলি বন্ধ করুন। তা না হলে ইতিহাস আপনাকে ‘ভণ্ড’ বলেই মনে রাখবে।